বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পি কে হালদারের সহযোগী রাশেদুলের স্বীকারোক্তি

  •    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:১৪

রাশেদুল হককে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

প্রায় ৭১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক।

রাশেদুল হককে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম বাকী বিল্লাহ ১৬৪ ধারায় আসামি রাশেদুল হকের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে বিকেল পাঁচটা ১০ মিনিটে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ।নাম প্রকাশ না করার শর্তে আদালতের একজন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, পি কে হালদারের নির্দেশে রাশেদুল হক ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এমডি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন।এ ছাড়া পি কে হালদারের মূল হাতিয়ার ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে শূর, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. শহিদসহ আরও বেশ কয়েকজন।

এদের প্রতিষ্ঠানে অডিট কমিটি পরিদর্শনে গেলে, কমিটির সদস্যদের পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা ঘুষ দিলেই তারা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ভালো রিপোর্ট দিতেন বলেও জবানবন্দিতে আদালতকে জানান রাশেদুল হক। গত ২৫ জানুয়ারি রাশেদুল হক ও পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।

৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ২৪ জানুয়ারি মামলাটি করেন গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলাi পর বিকেলেই এই দুজনকে মৎস্য ভবন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দুদক।মামলায় অভিযোগ করা হয়, পি কে হালাদার, উজ্জ্বল কুমার নন্দী, রাশেদুল ইসলামসহ ২৪ আসামি প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অস্তিত্বহীন ভুয়া প্রতিষ্ঠান তৈরি ও তার নাম-ঠিকানা ব্যবহার করেন।

এ ছাড়া আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে জাল রেকর্ডপত্র প্রস্তুত করে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিককে ঋণ পেতে সহযোগিতা করেন।আনান কেমিক্যালের পরিচালকরা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ভুয়া ঋণের কাগজ প্রস্তুত করে আসামিদের সহায়তায় আত্মসাৎ করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর